ওপার   বাংলা  

বাংলাদেশে কবিতা,প্রেমের কবিতা,রোমান্টিক কবিতা,
অলংকরণ : যামিনী রায় 



ধীমান পূরবী রায় 
গু চ্ছ  ক বি তা 



ফুল


  

দুটি বক ক্রমাগত ঝড় থেকে একটি পুঁটি মাছ নিয়ে 

দাঁড়িয়ে ছিল তারা এবং সবগুলো আকাশ।


 ২ 

তখন তোমার উরুদল, পর পর স্তনে নেমে এসেছিলো কারো সৌভাগ্যের অন্ধকার -

সেদিন একদিন যেদিন খুব কেঁদেছিলেন কবি।


 ৩ 

সিঁড়ির দিকে প্রমিকার চারুকলা যুগল অনেকখন 

কেটে গেল

তারপর পাগুলোর খবর আমরা জানিনা,তাদের কতগুলো চিহ্ন

আমরা জানিনা স্বপ্নাদের নাম ফুল-



Bangladesher kobita, বাংলাদেশের কবিতা, প্রেমের কবিতা, রোমান্টিক কবিতা
অলংকরণ : গুগল


প্রিয় ফাল্গুনীদে


 ১ 

আমি দেখেছি ব্রহ্মগুন ধান বীজ, আমি দেখেছি আলোর নীলাংশে সবুজের হৈ হুল্লোড় -

নিষিদ্ধ সময়ে বনসাই বৃক্ষ, মনোপজ নারী, হারমোনিয়াম ভাঙ্গা শব্দ, ভক্তিমূলক গান, কুরুক্ষেত্র -


 ২ 

কি দীর্ঘ জল, সাপুড়ে রোদ ও সব কিছু ম্যালামাইন স্মৃতি।

তথাপিও রোদ্দুর  আমাকে জড়িয়ে ধরে নিরাকার মাকালে -

ছুঁতে বলে চিঠির নরম স্পর্শ, লুকাতে বলে সন্তাপ বহু জন্মের।


 ৩ 

নিসর্গ মুগ্ধতার চেনা হাসিগুলো হলি রঙ জীবন্ত হয়ে উঠে

প্রিয় ফাল্গুনীদের ঘর বাড়ি -

আমি বারবার জড়াতে চাই, পৌঁছাতে চাই পারি না।

বাহ্ কি অদ্ভূত সুন্দর! দারুণ দারুণ সব দেবালয়, মানুষ, বনাঞ্চল।

আমাদের নদী -

সে বড়ো বিরল জীবনে যাপনে। স্বর্গ পৃথিবী হৃদয়ে।

দেখেছি আমি দেখেছি ব্রহ্মগুন ধান বীজ দেখেছি -




শহরতলি


পাগল এক মেয়ে দেখেছিলাম গাজীপুর পূবাইল বাজারে।

হয়তো আমরাই বোন, আমার বোনের বুক, আন্তঃনগর নীলসাগর -

সন্ধ্যা নয় সন্ধ্যা নয় জীবনসন্ধ্যা, গভীর কূপের মতন  সাইকেলের ভাল্ব টিউবের গোলাকার বলে নেই ঈশ্বরের কারুকাজ -

সে যাই হোক তারিখটা মনে আছে, সাত বারো দুই হাজার চোদ্দ -

কিছু নেই কিছু নেই, রুটি নেই, নেই গৃহবাস পরিচয়

আছে অভিমান হাসি একাকী।

আর শহরতলি রমযান রোজার এবাদত শেষে যে যার ঘরে চলে যায় -

কেউ কেউ পথেই থাকে, হয়ে যায় রবিঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’।