![]() |
অলংকরণ : গুগল |
পি ন্টু অ ধি কা রী
তুমি যদি বলো তবে
চলে যাই এখুনি, করতলস্থিত শস্য উজাগরে থাক;
পারলে এসো;
আমার সন্ততি বসন্ততিলক এঁকে
খুলে দেবে দ্বার
তুমি প্রবেশ কোরো নির্দ্বিধায়!
যা কিছু স্বপ্নবৎ অর্পিত অঞ্জলি
ছুঁয়ে যেও অদৃশ্য চুম্বনে!
আর কি!
দীর্ঘায়ু হোক সমতীত মতবাদ।
এতো রাতে জেগে আছো কেন?
কোনো সংশয়!
নাকি উৎসাহী জৈব কোলাহলে
নিমগ্ন চাঁদ ডুবে যাবে
স্থিত জৌলুসে!
অথচ সেখানে কোনো পূর্ণতা নেই
আমি জানি সে কথা !
শুধুই অসহিষ্ণু প্রবহ পরিক্রমা!
ক্রমশ, শুকিয়ে যাচ্ছে শিকড়
আমার ভিতর থেকে !
সমস্ত শব্দের ভিতর যে কম্পন
সে আমার বিমূর্ত সহিষ্ণুতা;
সময়নিষ্ঠ দিনরাত,
নিবিষ্ট চরাচরে অলৌকিক জীবাশ্ম!
একি শুধুই কলমের রেখাপাত
নাকি অন্য কিছু!
দেখিনি অথচ শুনেছি তাঁর
বিনতি প্রার্থনা।
যেখানে অনন্ত শয্যায় শব্দিত মহীরূহ
অমৃত কলশ হাতে,
নির্ঘুম যাত্রী শুধু দন্ডায়মান
অমৃত শব্দপিপাসায়!
আবার আসবে তো?
ভেবে ছিলাম সব বলব তোমায়!
মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে উঠে বসি; একটা দীর্ঘশ্বাস, যন্ত্রণাবোধ, যেখানে আমি দাঁড়িয়ে আছি তার প্রতিটি ধূলিকণায় চাপা পড়ে আছে এক স্রোতস্বিনী নদী!
তুমি কি জানো সে কথা! সেই নদীজল দু'হাতে
ছিটিয়ে নেবো আমি শুদ্ধশীল আচারে
শান্তিদূত হয়ে
নেমে আসবে মেঘ
আমার শরীরী প্রশাখায়!
তুমি ফুল হয়ে ফুটে
বংশবীজ রেখে যেও
মাটি উর্বর হবে আবার।
![]() |
অলংকরণ : গুগল |
সৌ ম্য ম য় পা ত্র
এত অসুখ জমিয়ে নদী হয়ে ওঠা বড় বেমানান
এত অক্ষর-শরীর, ডুবে যাওয়া—
সমস্ত ভেঙেপড়া নিয়েও এ ধ্যান বড় বেমানান
তবুও যুতসই জামার মতো এঁটে আছে।
এত জল! পরবর্তী দিনের নাম জানি না—অথবা কী দ্বীপ?
অথচ কলমের দাগ রেখে
এক-পা, দু-পা-
সমস্ত শরীরে বাৎসরিক যৌনতার ছাপ
এ-নতুন কবির দু’হাতে দুমড়ে মুচড়ে গর্ভপাত—
দুটো-একটা-দুটো শরীর পেরিয়ে এসেছি—তীরে,
সকাল নিকনো অচেনা ঢেউ, অজাত চিৎকারে
মিলিয়ে নিচ্ছে পরিচয় বিস্তর;
সময়! বলো, কীভাবে ঠিকানা লেখা যায়?