শারদ  সংখ্যা 

Oriya ওড়িয়া
অলংকরণ : গুগল




শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়

ওড়িআ কবিতা : মনোজ কুমার পণ্ডা

বাংলা অনুবাদ : প্র দী প কু মা র রা য়



যা দেখতে পাওয়া উচিত ছিল। 

তা দেখাই যাচ্ছে না এখন। 

এর থেকে বোঝা উচিত যে। 

গভীর একটা রাত বাকি আছে!

সামান্য আঘাতে কুলকিনারা না পাওয়া

সম্পর্কের ঘর ধসে পড়ছে এখন!

শব্দ আর শব্দের কারসাজিকে নিয়ে

ঝগড়ায় মেতে উঠছে কবি!

ছদ্ম খেলায় ব্যস্ত নির্বিকার ঈশ্বরকে

আজ ভীষণ দয়া হচ্ছে।


ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে এই বিচিত্র পৃথিবীর আয়ু ,

বাতাসে, সূর্যের কিরণে

দেহে দেহে অসংখ্য ভোগের

অগুনতি দোষের কারুকার্য,

 কিছু তো আর বাকি নেই খুঁটে খেতে

 ধূর্ত সওদাগিরি বুদ্ধিতে।


অসময় এখন সব জায়গায় - 

বান আসে, ঝড় ওঠে

মাটি ফেটে হাঁ করে,

চেটে নিয়ে যায় ভূমিকম্প,

ঋতু বলে আর কিছুই থাকে না,

সত্যি অবেলায় মরতে থাকে এই বসুন্ধরা

ছোটবেলার দুষ্টুমিতে।


রান্নাঘর কেবলই মায়ের,

এই জগৎ সেই ঈশ্বরের 

রাফ খাতাটা ছোটো বাচ্চার , 

তারা যা ইচ্ছা তা করতে পারে

এভাবে অজ্ঞানে যদি শেষ হয়ে যায় পৃথিবী

তবে স্বীকার করতে হবে

এই তো দূরন্ত গভীর এক রাত ।।

   

                         


ସରିଯିବାର ଭୟ  

ମନୋଜ କୁମାର ପଣ୍ଡା


ଯାହା ଦିଶିଯିବାର ଉଚିତ୍ ଥିଲା

ତାହା ଏବେ ଦିଶୁନାହିଁ

ଏତିକିରୁ ବୁଝି ଯିବାକୁ ହେବ ଯେ

ଗାଢ଼ ରାତିଟିଏ ଜାରି ଅଛି।


ସାମାନ୍ୟ ଆଲୋକରେ ଥଳକୂଳ ପାଉନଥିବା

ସମ୍ପର୍କର ଘର ଏବେ ଭୁଷୁଡ଼ି ପଡୁଛି।

ଶବ୍ଦ ଆଉ ଶବ୍ଦର କରାମତିକୁ ନେଇ

କଳିରେ କବି ମାତିଛି।

ଛଦ୍ମ ଖେଳରେ ବ୍ୟସ୍ତ ନିର୍ବିକାର ଈଶ୍ବରଙ୍କୁ

ଆଜିକାଲି ଭାରି ଦୟା ହେଉଛି।


କ୍ରମଶଃ ସରିଯାଉଛି ଏ ବିଚିତ୍ର ବସୁଧାର ଆୟୁଷ,

ପବନରେ, ସୂର୍ଯ୍ୟର କିରଣରେ,

ଦେହରେ ଦେହରେ ଅସଂଖ୍ୟ ଭୋଗର

ଅଗଣନ ଦୋଷର କାରୁକାର୍ଯ୍ୟ,

କିଛି ବି ଆଉ ବାକି ନାହିଁ ଖୁଣ୍ଟି ଖାଇବାକୁ

ଧୂର୍ତ୍ତ ସୌଦାଗରୀ ବୁଦ୍ଧିରେ।


ଅସମୟ ଏବେ ସବୁଠିଁ -

ବନ୍ୟା ହୁଏ, ବାତ୍ୟା ହୁଏ,

ମାଟି ଫାଟି ଆଁ କରେ

ଚାକୁଳେଇ ନିଏ ଭୂମିକମ୍ପ,

ଋତୁ ବୋଲି ଆଉ କିଛି ନ ଥାଏ

ସତରେ ଅବେଳାରେ ମରୁଥାଏ ଏ ବସୁଧା

ବାଳୁତ ପଣର ଦୁଷ୍ଟାମୀରେ।


ରୋଷେଇ ଘର କେବଳ ମାଆର,

ଏ ଜଗତ ସେହି ଈଶ୍ବରଙ୍କର,

ରଫ୍ ଖାତାଟି କୁନି ଶିଶୁର,

ଏମାନେ ଯାହା ଇଚ୍ଛା କରି ପାରନ୍ତି

ଏମିତି ଅଜ୍ଞାତରେ ଯଦି ସରି ଯାଉଛି ପୃଥିବୀ

ତେବେ ସ୍ବୀକାର କରିବାକୁ ହେବ 

ଏ ତ ଦୂରନ୍ତ ଗାଢ଼ ରାତିଟିଏ।





মনোজ কুমার পণ্ডা (১৯৬৮) সমকালীন ওড়িআ কবিতা জগতের এক পরিচিত নাম। সম্প্রতি তিনি সুরজমল কলেজের অধ্যক্ষ পদে অবস্থাপিত।

তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ -‘অদৃশ্য আলিঙ্গন’, এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত ‘গোটিএ নদীর নাম’ পাঠক মহলে সমাদৃত হয়েছে । মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় যুব উৎসবে ওড়িশার প্রতিনিধিত্ব করেছেন মনোজ কুমার পণ্ডা। গঙ্গাধর সাহিত্যে পৌরাণিকতা বিষয়ে গবেষণা করে পেয়েছেন ডক্টরেট ডিগ্রী। অনেক অনুষ্ঠানে সম্মানিত কবি মনোজ কুমার পণ্ডার দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হবে আগামী কলিঙ্গ লিটেরারী ফেস্টিভালে।