অলংকরণ : প্রণবশ্রী হাজরা 


সৌ মী  আ চা র্য্য

কথা যাপন



- ন্মান্তর বলে কিছু হয় না।

- তোর মাথা! হয় হয় আমার হয়েছে। আগের জন্মে এই বাড়িটা আমাদের ছিল। এই জঙ্গল তুই আমাকে প্রথম উপহার দিয়েছিলি সেদিন প্রথম ভোরে আমি ছুঁয়েছিলাম তোকে।

- তাই বুঝি! আর ঐ পাহাড় কি আমার রির্টান গিফ্ট?

- না, আমি তোকে কুয়াশা দিয়েছিলাম। জড়িয়ে থাকার বিশ্বাসে। পাহাড় আমায় তুই দিসনি বলেছিলি,"ওটা আমাদের দুজনের অভিমান আশ্রয়, যার যখন মন কেমন হবে, অভিমান হবে ওখানে যাবো। আরেকজন মান ভাঙাতে যাবে।"

- এমন কথা আমি বলেছিলাম?

- হ্যাঁ বলেছিলি, কানের খুব কাছে গরম নিঃশ্বাসের স্পষ্ট ইঙ্গিতে।

- যেদিন আমার অভিমান হয়েছিল তুই গিয়েছিলি?

- হুম্! নদী থেকে জল নিয়ে গিয়েছিলাম চোখে করে, তুই ব্যাকুল হয়ে ভিজে গেলি। ফিরে এলেম ছোট্ট ঐ কাঠের বারান্দায়। কফিকাপে চুমুক দিচ্ছিলাম আমি, খুব লজ্জা পাচ্ছিলাম, খুব। তুই কেন যে অমন করে দেখতি আমায়!

- আর যেদিন তুই অভিমানী!

- সেদিন দুহাতে পাহাড়  আঁকড়ে থাকতাম বারবার ফিরিয়ে দিতাম তোকে।

- মানে! আমি মান ভাঙাতে পারতাম না!

- না পারিসনি। হারিয়ে গিয়েছিলাম ঐ পাহাড়েই। তাই তো আবার জন্মেছি। আমার নির্জন ঘর, একটা নিজস্ব নদী, ঝিমধরা জঙ্গল আর অভিমান আশ্রয় পাহাড় যদি এবার ফিরিয়ে দিস। হয়তো এবার পারবি মান ভাঙাতে। যদি না দিতে পারিস অভিযোগ নেই। আবার জন্মাবো আমি, আবার, আবার...কোন এক জন্মে আবার পাবো সব।