শা র দ সং খ্যা
অ র্ঘ্য ক ম ল পা ত্র
অভিসার
১
এ বৃষ্টি গতরখাকি। খুক-খুক শব্দে
হাঁচি। কাশি। ছড়ায় আনচান ব্যাধি
তবু ভুল হয় মেঘ দেখে
ভেসে ওঠে, বেকুব রোমকূপ
যেমন উদ্ধত কস্তূরী
মৃত্যুকে ডেকে আনে— সুগন্ধ অবধি
২
ঘুণ তো অক্ষত দানো। জীবন খেয়ে খেয়ে
বাড়িয়ে নেয় — অঙ্গীকারের স্বাদ
প্রথা আছে ছুঁয়ে থাকার
বৃদ্ধ বটের শিকড়ের...
এবং এসব দেখেই হেসে ফেলি।
হেঁসে ফ্যালে...নিটোল বাইজি চাঁদ!
৩
দূষণ তীব্রভাবে। অথচ সামিল
জটাজুটধারী নেতা। এতটাই সনাতন এ প্রতিশ্রুতি
আমরা যদিও হন্যে বালক।
তবু সংযম। ভীরু
শুধু প্রজাপতি হবে বলেই
ছুঁই না, ছিঁড়িও না, শুঁয়োপোকার গুটি
৪
যদি কেউ দুহে নাও ব্যাধি
মুছে নাও শিশির—
বেদনা শুকনো করে ঘাসে
চেয়ে দ্যাখো গঙ্গার প্রবাহ...
সাঁঝের চাঁদ লুকিয়ে যেখানে
মেরিলিন মনরোর মতো হাসে!
সু কা ন্ত দা স
অজ্ঞাতবাস পর্ব
১
পৃথিবীর কোথাও হারিয়ে গেছে গান। কোথাও বা শোকের শহর। এতকাল এক সুরের গান গেয়ে এসেছি বস্তিতে বস্তিতে। রৌদ্র জেগে উঠলো শিরা উপশিরায়। আরেকবার ধরা দেবার লোভ। সাধ করে লিখে গেছি মফঃস্বলীর লিরিক আর অনিয়মের হারমোনিয়াম।
২
আজ চিঠি লিখছি। ফ্যাকাশে পোস্টকার্ড। কিছু আগেই লিখলাম এই ভিজে আসা ঝাপসারা ভুল। একের পর এক কালো রঙে ভিজিয়ে দেওয়া শীতকাল।
৩
গতকালও আমার অবস্থান ছিল ফণীমনসার বুকে। বোবারা লাজুক হয়। দ্বীপান্তরে বসেও লিখে দেয় অনুস্কালের কবিতা। তুমি বিড়াল খোঁজো। ছেদ হয় আলোর পসরা। হঠাৎ ঝড় ওঠে। ভিজে বারান্দা থেকে দেখি হাড়মাংসের ফাঁপা গুমরানি। চিল উড়ে আসে। মুহূর্তে তুলে নেয় খণ্ড-মাংস। উজাড় করা দিনে মিজেকে আগুন দিই। আরেকবার ভুলের শিকার।
ভাবি এ সমাজ আমার একার, অন্তত বিষাদ দুপুরগুলো -
অভুক্তির দেশে
১
যাবার নেই কোথাও। বেদনার রূপ। কুশিলব থেকে কারিগর। টানা বারান্দা। বারান্দা জুড়ে রোদ্দুর যাপন ছিল। শেষবার হয়েছিল বরাকের দেশে।
২
মাউথ অর্গানে তুমি বিহ্বল সুর খোঁজ। আমি আগুন দেওয়া দেখি।
৩
লোকগান নিয়ে ছবির দেশ। ছবিয়ালের দুঃসাহস। সময়ের সাধ বইছে দেহগঙ্গার দিকে।
৪
ওপাড়ে বাজ পড়ল। এপাড়ে আজান ডাক শোনা যায়। হরতাল ডেকে ডেকে পাখিরা ফিরে গেছে। যবনিকার পেছনে পরবর্তী দিনের আগাম অভিনয়। বিরল শরীরে ফাঁদ পাতা। অপার জ্ঞানেই গিলে নেবে ভুলের শরীর।
৫
তখন মাইকে নাম ধরে ডাকা চলছিল। শুনশান রাস্তায় ইতিউতি মানুষজন। তোমরাই তো চেয়ে এনেছিলে কাগজ। রুপোলী তমসুক। চিত্রপট পোড়ে। নাম ডাকা হয়ে গেলে রাত দীর্ঘ হয়...