এবং খোঁজ। শারদ সংখ্যা। বর্ষ : ২, সংখ্যা ১৪। নির্বাচিত 'অনুবাদ কবিতা' পড়তে ক্লিক করুন। উচ্চারিত হোক অক্ষর, স্পর্ধিত হোক ভাষা।

শা র দ সং খ্যা




মূল ওড়িআ কবিতা : সুস্মিতা শড়ঙ্গী

বাংলা তরজমা: প্র দী প  কু মা র  রা য়




গত রাতের দেবদাসী


চেতনে - চিন্তনে

যেকাল থেকে তুমি সমাহিত

সব ঋতু, সব মাস, সব মুহূর্ত

মধুক্ষয়, মধুক্ষরা, মধুর পার্বণ।


তোমার  বন্ধন সাড়া দিতেই

বসার জায়গা থেকে উঠি

চুল বাঁধি সাথে সাথে

ঠিক করি বেনারসির কুঁচি

আঁচল প্রসারিত হতে থাকে

মাটির থেকে আকাশে।


এক চোখ অভিমানী কাজল

দুটি ভুরুর কালো মেঘের ভেতর থেকে

বেরিয়ে আসে  কমলা রঙের নবারুণ

চিবুকের ওপর হাসতে থাকে

গোলাপী পদ্মের দুটি পাপড়ি

হাতে ছয় জোড়া

ঝন ঝন  দীর্ঘ প্রতিশ্রুতি

তোমার থেকে আর এক মুহূর্তও

আলাদা না থাকার।


দুই পায় ছম্ .....ছম্......

রং ক্রীড়া ছন্দায়িত বাঁধনে

তোমার সাথে একাত্ম হওয়া

স্থুল জানালা দিয়ে

যা নেহাতই অদৃশ্য।


এবার বাইরে পা ফেলি

তোমার মুখোমুখি হই

সত্যি কি

নিজে কিছু করি...?

তুমি ই কারক, কার্য, কারণ

প্রত্যেকবার তুমিই তো

সুযোগ তৈরি কর

আমার আত্মায় খালি

এক জোড়া ডানা লেগে যায়।


পৌঁছে মাথা নত করে

তোমার শ্রীপয়রে হাত রাখি

নখের ড়গা থেকে মাথায়

সুবাস ছড়িয়ে পড়ে

শিহরিত প্রত্যেকটি অঙ্গ

হাত জোড় করি, চোখ বন্ধ

অর্ঘ্যের মতো অর্পিত হওয়ার কালে

সমর্পিত হয় সর্বাঙ্গ

প্রত্যেক বারের মতো  সেই...সেই...

নিবিষ্ট মুদ্রায়।


পূজো শেষে বাড়ি ফিরে আসি

রাত যত গভীর হয়

সব কষ্ট, সব ক্লান্তি

ধুয়ে যায় মন্ত্র স্নানে।


শোয়ার ঘরের পর্দা সরাই আমি

কি আশ্চর্য....

সারা বিছনায় বেলিফুলের সুগন্ধি

দুই হাত মেলিয়ে

আমার পথ চেয়ে

যেন শুভ্রতার মুগ্ধতা এক।


যতবার আমি যোগ্য হওয়ার

সংকল্প নেই

তোমার ভাবের মোহ

দূর করে সব অভাববোধ

শত সহস্র বার  আমাকে আবার

তোমার দিকে টানে ....!



କାଲି ରାତିରେ ଦେବଦାସୀ

ସସ୍ମିତା ଷଡ଼ଙ୍ଗୀ


ଚେତନ ଚିନ୍ତନରେ

ଯେକାଳୁ ତମେ ସମାହିତ

ସବୁ ଋତୁ ସବୁ ମାସ ସବୁ ମୁହୂର୍ତ୍ତ

ମଧୁମୟ ମଧୁକ୍ଷରl ମଧୁର ପାର୍ବଣ l


ତମ ଡୋରି ଲାଗିବାକ୍ଷଣି

ବସିବା ଠାଆରୁ ଝଅଟ ଉଠେ

ସଅଳ ସଅଳ ବେଣୀ ବାନ୍ଧେ

ସଜାଡି ପକାଏ ପlଟବସ୍ତ୍ର କୁଞ୍ଚ

ପଣତ ଲମ୍ବିଥାଏ ମାଟିଠୁ ଆକାଶ l


ଅଭିମାନୀ କଜ୍ଵଳ ଆଖିଏ ଆଖିଏ

ଦୁଇଭୂରୁ କଳାବାଦଲ ଭିତରେ

ଉଇଁ ଆସେ ସୁଗୋଲ ତରୁଣ ଅରୁଣ

ଚିବୁକ ଉପରେ ହସୁଥାଏ

ଦି'ପାଖୁଡା ଗୋଲାପି ସରସୀଜ

ହାତରେ ଛ'ପଟ

ରୁଣୁଝୁଣୁ ଦୀର୍ଘ ପ୍ରତିଶ୍ରୁତି

ତମଠୁ ଆଉ ଦଣ୍ଡେ ବି

ଅଲଗା ନ ରହିବାର l


ଦୁଇପାଦରେ ଛମ... ଛମ... ଛମ...

ରାହାସ ରଙ୍ଗକ୍ରୀଡା ଛନ୍ଦlୟିତ ବନ୍ଧର

ତମସହ ଆହୁରି ଏକାତ୍ମ ହେବାର

ସ୍ଥୁଳ ଝରକା ଦେଇ

ଯାହା ନିହାତି ଅଦୃଶ୍ୟ l


ଏଥର ପଦାକୁ ବଢାଏ ପାଦ

ତମମୁଖୀ ହୁଏ

ପ୍ରକୃତରେ ମୁଁ କ'ଣ

ନିଜେ କିଛି କରେ ?

ତମେ ହିଁ କାରକ, କାର୍ଯ୍ୟ, କାରଣ

ପ୍ରତିଥର ତମେ ହିଁ ତ

ସୁଯୋଗ ତିଆରି ଥାଅ

ମୋ ଆତ୍ମାରେ ଖାଲି ଯାହା

ହଳେ ଡେଣା ଲାଗିଯାଏ l


ପହଞ୍ଚେ, ମଥାନତ କରି

ତମ ଶ୍ରୀପୟର ଛୁଏଁ ତ

ନଖଠୁ ଶିଖ ଯାଏ

ଗୋଟା ମହକିଯାଏ

ହାତଯୋଡ଼େ, ଆଖି ମୁଦେ,

ଅର୍ଘ୍ୟ ସମ ଅର୍ପି ହେବାବେଳେ 

ସଅଁପି ହୋଇଯାଏ ସର୍ବାଙ୍ଗ

ପ୍ରତିଥର ଭଳି ସେଇ... ସେଇ ...

ନିବିଷ୍ଟ ମୁଦ୍ରାରେ l


ପୂଜାସାରି ଘରକୁ ଫେରେ

ଯେତେଯେତେ ଗାଢ଼ ହୁଏ ରାତି

ସବୁ ଦରଜ ସବୁ କ୍ଲାନ୍ତି

ଓହ୍ଲେଇଯାଏ  ମନ୍ତ୍ର ସ୍ନାନରେ l


ମୁଁ ଶୋଇବା ଘରର

ପରଦା ଆଡାଏ

କି ଆଶ୍ଚର୍ଯ୍ୟ !

ଶଯ୍ୟାସାରା ମଲ୍ଲୀକଢି ଦିବ୍ୟସୁରଭି

ମୃଣlଳ ବାହୁ ମେଲେଇ

ପ୍ରତୀକ୍ଷମାଣ ମୁଦ୍ରାରେ

ରାହା ଦେଖୁଛି ମୋର

ଧବଳ ଧବଳ ମୁଗ୍ଧପଣଟିଏ l


ମୁଁ ଯେତେବାର ଯୋଗକ୍ଷେମ ହେବାର

ସଂକଳ୍ପବଦ୍ଧ ହୁଏ

ତମ ଭାବର ମୋହ

ଦୁରେଇ ନେଇ ସବୁ ଅଭାବବୋଧ

ସେତେ ସହସ୍ରବାର ପୁଣି ମୋତେ

ତମ ଆଡକୁ ମୁଁହlଏ l

      

   

 



সমকালীন ওড়িআ কবিতার সুপরিচিত কবি সুস্মিতা ষড়ঙ্গী। জন্ম ০১/০৪/১৯৭৩। ভুবনেশ্বরে অবস্থিত KIIT Science College এর অধ্যাপক। এযাবৎ তাঁর তিনটি কবিতা সংকলন  প্রকাশিত। অনুদিত কবিতাটি তাঁর 'অবির পক্ষ' কবিতা সংকলন থেকে গৃহীত।