শা র দ সং খ্যা
অ জি তে শ না গ
নির্জনতা
নিজেকে ছুঁড়ে দিচ্ছি সেইদিকে যেখানে তোমার অসন্তোষ মিছিল বের করেছে।
অন্ধকারে দিব্য টের পাচ্ছি ক্রমাগত ছুরিকাহননের শব্দ,
এখন আর কোন রক্ত-পুঁজ অবশিষ্ট নেই, নির্বাক চাঁদ নেই স্বমেহনের।
রাতের দরজা খুলে কাজী সাইদুরের পাহাড়ের দিকে চলে যাবো,
নদীজলে সৃষ্টিবিভাসের প্রতিফলন দেখতে দেখতে পৌঁছে যাব;
যেখানে নক্ষত্রফুল রাজকীয় অভিবাদন জানায়।
তোমার অসন্তোষ মিছিল আমার মৃতদেহ বহন করুক পদস্খলনের দম্ভে,
প্রার্থনা সঙ্গীতের আগে আমি মন্দিরবেদীতে জমা রাখব;
আমার জামাকাপড়, জমানো শিশির, পাগল মুর্শিদের গান।
অ নি মে ষ গু প্ত
শনিক্ষেত্র
হাওয়া কম। ঘুড়ির ক্যাসিনোয়
গড়িয়ে যাচ্ছে লাটাইয়ের ঘাম...
লাট ছাড়ছে সুতো নাড়ছে
লালা ঝরা কুকুরের ছায়া...
বুড়ো আঙুলে ভেসে উঠছে
শনিক্ষেত্রের আকাশ।
গো লা ম র সু ল
একটি রুমাল আমাদের অর্থহীন পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে
কবরখানার ধার দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম
ঈগল আকাশকে চূড়ান্ত করেছে যেখানে
সেটা হবে একটা শরৎকালীন ধ্বংসের সময়
আয়নার ভেতরে মস্তক হাতে জেগে উঠছিলো অনেকে আর গ্রহণ করেছিল আমাদের নৈঃশব্দ্য
একটি রুমাল আমাদের অর্থহীন পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছে
রাত্রি এবং দিন দুটোই লুকিয়ে গেছে
যে বয়েমগুলো আকাশ পরিশ্রুত করার কাজে লাগত সেগুলো নেমে আসছিলেন সাজানো
আমরা কবরখানার দীর্ঘ আয়াতন ধরে যাচ্ছিলাম
তৈ মু র খা ন
হাসপাতালের দিকে
কিছু নীরবতা আমাকে হাসপাতালের দিকে নিয়ে যায়
যদিও কোনও তৃষ্ণার কথা বলিনি কখনও
যদিও গুচ্ছ গুচ্ছ কোঁকড়া চুলের রমণীদের কথা গোপন রেখেছি
মসৃণ ত্বকের কিছু উপমা খুঁজতে খুঁজতে
আমি শুশ্রূষার অভিমুখে দাঁড়াই
আমাকে ভাসিয়ে দিক সময়
আজ কোনও নৌকার কাছে যাব নাকো আমি
ক্রমাগত একটা দ্বীপ, দ্বীপের অরণ্য
আর নীরব ভাষার সংলাপ…
ভালোই তো লিখেছো । আর মাঝে একটা রূপক অন্তরা লেখো । শেষটা যেমন লিখেছো ।
পি ন্টু অ ধি কা রি
জল
চারিদিকে শুধু থই থই জল।
জল তো জীবনপ্রবাহ, তৃষ্ণা মেটায়।
খিদের গল্প জলের আরো গভীরে।
স্থির বিশ্বাসে জলের অতলে চেয়ে থাকো,
দু'চোখে নেমে আসবে ঘুম।
সহিষ্ণুতায় নিভে যাবে সব আগুন !
বৈ জ য় ন্ত রা হা
কবিতার শেষ
ভুলে গেলে হাওয়া বয়, নিয়ে যায় দূরে, পাপ
বন্ধ দরজা আজও, বিচ্ছিন্ন দৃশ্যরেখা,
অদৃশ্য সমস্ত সংলাপ,
আমার ঘরের থেকে বহুদূর তোমার বাড়ি
জানিনা কেমন আছ, কাকে বলো আজও, 'বাড়াবাড়ি!'--
যুদ্ধেরা শান্ত খুব, ধ্বসে গেলে অথবা দাঁড়ালে,
মনে পড়ে ঠোঁটের খুব কাছে ছিল তোমার আঙুল,
হেরে গেলে, তারাদের ভীড় ঠেলে নৌকোর পালে
রক্ত জমাট হয়, খেরো খাতা, ঝনঝন বাসনের ভুল,
'চা করে খাওয়াব তোমায়, একদিন, তোমার বাড়ি'
নৈঃশব্দ্যে উড়ে গেছে, ঝরে গেছে সব শীতকাল,
আঁচল ঘুরিয়ে ফেলো, আজও, নাভীর নীচেই
পড়ো শাড়ি?
লাবণ্য ফিরে এস, অমিতের ফুরোল সকাল...
র বি ন ব ণি ক
তৃতীয় বন্ধনী
ধৈর্য্য ভেঙে আসে–
ঊরু থেকে উৎপন্ন একটি জলস্রোত
পায়ের কাছে এসে সন্ন্যাসী সেজে নেমে যায় জলে
ধৈর্য্য ভেঙে আসে শিয়রে শিয়রে।
একদল জঘন্য, কলারে আঁধার এঁকে
ভেঙে রেখে যায় দহনের তৃতীয় বন্ধনী
অবিকল বাদামের মতো ডেকে ওঠে শরীর–
ধৈর্য্য ভেঙে আসে সাঁতারের অনিদ্রায়–
ঘাস থেকে জেগে ওঠে অগ্নি, হাই তোলে
তালুতে অপেক্ষা রেখে তুলে ধরে হাত–