ভাষান্তর 

অলংকরণ : ঋদ্ধিমান ভট্টাচার্য 


মূল গ্রীক কবিতা : থেওদরা কুফোপুলু ইলিওপুলু

বাংলা তরজমা : উজ্জ্বল ঘোষ



নির্জনবাসী


গভীর অন্ধকার

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া,

আর্তনাদী জাহাজের

দূরবিন তাকিয়ে আছে

বিষণ্ণ দিগন্তে...


দূরে বন্দরের মলিন আলো

পাহাড়ের উপর

যেন বিনিদ্রিত প্রহরী।

সে ইশারায় চিৎকার করে,

"হে সমুদ্র-বিধ্বস্ত নাবিক,

এগিয়ে চলো...

আলোর বার্তা গ্রহণ করো।"


অমনি জাহাজ নত হয় তার সামনে।

সে কৃতজ্ঞতা জানায় তার স্রষ্টাকে।



Ο ΕΡΗΜΊΤΗΣ

Θεοδώρα Κουφοπούλου Ηλιοπούλου


Βαθύ το σκοτάδι

Θυελλώδης ο καιρός

Το πλοίο τρίζει

Το τηλεσκόπιο Αγρυπνά

Στον ζοφώδη ορίζοντα

Αμυδρά λάμψη...


Στον βράχο επάνω

Άγρυπνος ο φρουρός

Ερημίτη της θάλασσας

Φώναξε...

"Ο θαλασσοδαρμένος καπετάνιος,

Φάρε!"


Το πλοίο υποκλίνεται μπροστά σου.

Ευγνωμονεί τον κατασκευαστή σου.



থেওদরা কুফোপুলু ইলিওপুলু  (Θεοδώρα Κουφοπούλου Ηλιοπούλου) : জন্ম ১৯৪৯ সালে, দক্ষিণ-গ্রিসের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা আর্কাদিয়া অঞ্চলের স্পাথারি গ্রামে। কৃষক পরিবারের সন্তান তিনি। আট ভাইবোনের দারিদ্র্য-লাঞ্ছিত সংসারে কেটেছে তাঁর বাল্যকাল। কিন্তু পড়াশোনায় ভালো হওয়ায় সকলের চেষ্টায় প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে মাত্র বারো বছর বয়সে ১৯৬১ সালে আথেন্সের হাইস্কুলে ভর্তি হন। অতঃপর স্নাতক ডিগ্রি-লাভ এবং চাকরি-প্রাপ্তি স্বাস্থ্যমন্ত্রকে। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। স্বামী, পুত্র, পুত্রবধূ, নাতনি আর কবিতা নিয়ে তাঁর সংসার। তিনি বিশ্বাস রাখেন ঈশ্বরে, মানুষে আর কবিতায়।

কবিতা লিখছেন ছাত্রীজীবন থেকেই। গ্রিসের কবিবলয়ে তিনি সুপরিচিত নাম। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের নাম হলো: 'শিশির বিন্দু' (Δροσοσταλιές), 'জীবন-সংগীত' (Ζωή σε Τραγουδώ), 'সুরভিত ভাবনা' (Στοχασμών Ευωδιές), 'আমার আত্মার বাগানে' (Στον Κήπο της Ψυχής Μου), 'আলোর পথে' (Πορεία προς το ΦΩΣ), 'আলোকরশ্মি' (Αχτίδες Φωτός), 'স্পাথারির স্মৃতিবেদনা' (Το Ταξίδι Νοσταλγίας στο Σπάθαρι) ইত্যাদি।

ইংরেজি, ফরাসী, চীনা, ইতালীয়, স্পেনীয়, আরবীয়, রুশীয় প্রভৃতি ভাষায় তাঁর কবিতা অনূদিত হয়েছে। বাংলায় এই প্রথম। অনূদিত কবিতাটি তাঁর ২০২০ সালে পুরস্কারপ্রাপ্ত গ্রন্থ 'আশপাশ' (ΙΣΤΙΟΔΡΟΜΩΝΤΑΣ) থেকে নেওয়া।