দীর্ঘ কবিতা
![]() |
অলংকরণ : শুভদীপ মন্ডল |
আ শি স ঘো ষ
সরোদ বন্ধ করো না
তুমি কি ঘুমিয়ে পড়লে?
ঘুমের মধ্যে বেশ শুনতে পাই। বললে ।
তখনও সরোদ বাজছিল,
জানলার পর্দা উড়িয়ে
বৃষ্টি ভেজা ঠান্ডা বাতাস গায়।
বৃষ্টি না হলেও
তুমি রাতে একবার জিজ্ঞাসা করো,
বাজনাটা বন্ধ করে দাও।
বাতাস বন্ধ হয়ে যায়।
ইচ্ছে হয় জিজ্ঞাসা করি, কেন বন্ধ করে দাও?
তুমি যাকে ঘুম বলে জানও
আমার কাছে সে এক পর্যটন।
সমস্ত ইচ্ছাধীন স্বপ্নরা
আমার একটা দুরন্ত ইয়টে করে হারিয়ে যায়।
পার হয়ে যায়
এক এক করে সাত সাতটা সমুদ্র।
বরফের ফাটলে শীল মাছের চোখ,
যেন বলাবলি সেরে নেয়,
এই তো সেই মানুষ, - গ্রেট স্লেভ লেক চেনে।
হাত তুলি, ভাল আছ তো বন্ধু?
এই পর্যটন এমনই, সব মনে পড়ে যায়,
আকিলা দ্বীপ গুহা লিপি অজস্র সঙ্কেত-
আমিই লিখেছিলাম। আমিই। কোনও একদিন।
এক আশ্চর্য নীল স্ফটিক। জিরকোনিয়াম-
রেখে গিয়েছিলাম এখানেই।
দেখেছিলাম পৃথিবীর প্রথম বিদুষীর চোখ,
বরফে ঢেলেছিল উষ্ণতা।
সেই নীল স্ফটিক
তোমাকে এনে দেব বলেই তো পর্যটনে যাই।
মানুষ একদিন একবারই ঘুমোতে যাবে।
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই।
দুয়ার থেকে আকিলায়-
জুলো উপজাতির হর্ষধ্বনি শুনতে শুনতে দেখেছি
নীল ঢেউ চাঁদের চিবুক ছুঁয়ে যায়।
আমি ঘুমাতে জানি না। পর্যটনে যাই।
যদি বোঝ ঘুমিয়ে পড়েছি ,
আজ থেকে আর সরোদ বন্ধ করো না।