গুচ্ছকবিতা  

অলংকরণ : শুভদীপ মন্ডল 



ম ন্দি রা  ঘো ষ

অপদেবতার চোখ

 

১.

উপেক্ষা আর দেহ বাড়িয়ে দেওয়া 

সেইসব দুপুর যখন সন্ধে হয়

পুকুর শুষে নেয় বিধবার নিঃস্বতা


তোমরা তাকে শাদা শেখাও

গড়িয়ে নাও শেষ পাতের সিঁদুরজল

 মাংসের কাঁটায় উড়ে আসে মাছি



২.

মাছপুকুর জানে এই সব উপোস 

আর প্রার্থনা মেশানো রোদ্দুরে

ডানা থেকে হলুদ  উড়ে যায়


আঁশ ছাড়ানো বোঁটায় নাভিতে 

ঘুমিয়ে পড়ে জ্যোৎস্নার গ্রাম

সিঁথিতে জলশুশুকের শাদা জ্যোৎস্না



৩.

 কুমারী রোদে একছাদ উপুড় করা 

ভাদ্রশীত, মাটির কুমকুম

 ধুনো আর পল্লবের কাঁপা কাঁপা, 


শতকের খোসা ছাড়ানো দুটি হাতে

 বর্ণ ফুরিয়ে যায়


কোল ঘেঁষে পড়ে থাকে দুধধানের ক্রিয়াপদ 

শিব ঠাকুরের ব্রত, চৈত্রের যজ্ঞ



 ৪.

জল পেরিয়ে যায় কুসুমডিঙা

ভোরের পল্লবে  স্তব উপাচার 

যজ্ঞসূত্র পাটভাঙা সকাল

তুঁতে আর শিউলি গোলা কাঁচা কাঁচা

দাবিতে আটকে থাকে তর্পণ


জলের মেঝেয় চাপ চাপ নরম সন্ধে 

ধুতে ধুতে  রাত ফুরিয়ে আসে



৫.

অবাধ্য মেঘ আর চষা রোদখেতে 

উড়ে যায়  ত্রিকোণপাপ


শাড়িশাসনে লুকোনো উরুঘাম

ঝোলানো থাকে শেষ দৃশ্যে


পোড়া পোড়া কাঠআগুনে 

পাথুরে  অপদেবতার চোখ


ভোরের স্বপ্নে হারিয়ে যায় শেষঅংশটুকু

চোখ কচলে দুহাত কপালে

 ছুঁয়ে কে যেন বলে ওঠে দুগ্গা দুগ্গা