কবিতা 

অলংকরণ : শুভদীপ মন্ডল 



গো লা ম  র সু ল

সুবর্ণরেখা


দেখতে পাচ্ছি কবরের মতো সংবেদনশীল কিছু একটা

সুবর্ণরেখা আকাশের এই গলি কোথায় চলে গেছে জানি না


তখন আমরা আঙুল গুনছিলাম ঈশ্বরকে নির্ণয় করার জন্য

আমাদের জমায়েতের নৈঃশব্দ্য ভাসছিলো

না দেখা সেই  বন্দর


দিগন্তে উড়ছে অন্ধ পাখিরা  কয়েকটি দরজার মতো



না লেখা ভাষা


কিভাবে আমরা বানিয়েছিলাম  আস্তানা গুলো  সেইসব অক্ষর সমূহের মতো

কিভাবে নৌকার চেয়ে ছোটো করে নিতে চেয়েছিলাম নদী গুলোকে


জলবাহক

বৃষ্টি নামুক

আমরা শুরু করবো পড়তে না লেখা 

ইঙ্গিতের ওপর গড়ে ওঠা অট্টালিকা গুলো উড়ে যাক

আর মা একটা ঘর যেখানে আমরা বসবাস করি আবালবৃদ্ধবনিতা


সারা আকাশে না লেখা ভাষা

আর  শুধু জমে থাকা বনভূমি




র বি ন  ব ণি ক 

প্রিয় বান্ধবী 


প্রিয়  বান্ধবী  ভেঙে  ঝিঁঝিঁপোকা–দিন

তখন  বৃষ্টিকাল

করতল  চেপে  ধরে  আছে  একান্ত  মীন


চাদরের  গায়ে  জলে  পোড়া  প্রিয়  বান্ধবী

তখন  আমিষ–কাল

তক্ষক–আলো  ঘিরে  ছড়িয়ে  ছিটিয়ে  কালো  জাহ্নবী


ছবি  ও  অক্ষর  চুঁয়ে  নেমে  আসে  প্রিয়  বান্ধবী–রঙ

তখন  প্রচ্ছদ–কাল

ঠোঁটে  দিগন্ত, পিঁপড়ে  শরীরে  ঘিরে  আছে  কিছুটা  এবং


তখন  আগামীকাল–

তখন  আগামীকাল–




সূ র্য  কা ন্ত  জা না

বীজ


হারানো পথের বাঁকে

পিছলে যায় মনোভূম।

প্রশস্তির পারদ চড়িয়ে

চিঁড়া ভেজা উষ্ণতায়,

ঢেঁকিশালের গল্প।

হাহা হিহি ছন্দে

পা নাচায়।

নেচে ওঠে আঙিনা।

মজুত করা শস্যেরা

বীজ হয়ে ওঠে।



সৌ ম্য ম য়  পা ত্র

যে গন্ধ এখনো জীবিত


এই যে উঠে গেলে সাবধানে, দাগ মুছে দিলে

কিছু গন্ধ কলারের কাছে পোষা ইঁদুরের মতো স্থির

কয়েকটা বিকেল শুধু হারানোর কথা বলে,                                                               

হারিয়েছে

তবুও তো হাত রাখে, শরীরে শরীর 

যে অতীত,  অনেক পুরনো  

যে অতীত,  স্নানের পরেও 

সংবেদ মাড়িয়েছে দুপায়ে 

তবু একুশ বছরের দুটো চোখ হয়ে বেঁচে।

এই যে এতো রাতে ফিরে এলে 

অনেক ভোরেও এ-গন্ধের সরীসৃপ মন 

এখনও বুকের ওপর চুলের গন্ধের মতো অতীত।