অনুবাদ কবিতা 



দা মো দ র  প ণ্ডা

ভাষান্তর : প্রদীপ কুমার রায়


কেউ একজন


কোথায় কেউ একজন

ফিসফিস সুরে

আমার নাম নিয়ে ডাকছে 

তার সুর খুবই অচেনা আর

আদিম আদিম শোনা যাচ্ছে


সেই সুর বাঁশির সুরের মতো

আবার কখনো পুরনো খেয়াল

মতো শোনায়, প্রিয়জন

হাত ছাড়ো, আমার

অনেক দূরে যাওয়ার আছে

অনেক দূরে.....


দুঃখ যে

এখন তোমার মুখ ও

মনে পড়ছে না

মনে হচ্ছে

হারিয়ে গেছে সবকিছু

যেতে হবে

কেউ একজন আমার

নাম নিয়ে ডাকছে।




লু ই সি  গ্লু ক

ভাষান্তর : চিন্ময় বসু


রাত্রির যাত্রী


এই সময়ে আবার দেখা যায়,

বনজ্যোৎস্নায় পোড়ো বাড়ীর  

দেওয়ালের ধুঁধুল ফল ও 

হলুদ ফুল ।

আর কালো আকাশে

রাতের পাখীরা উড়ে যায়  

নীরব ডানা মেলে ।


যন্ত্রনা পাই, মনে পড়ে 

মৃতদের দৃষ্টির বাইরে এইসব ছবি।

আমরা যা নিযে বাঁচি 

তাই নিমেষে মিলায়?

এই সব ছবি?


মন কে কি করে বোঝাই,

স্বান্তনা দিই!

নিজেকে প্রবোধ দিই, 

অশরীরী যে

তার আর কিসে আসে যায়, 

কি প্রয়োজন আর 

জীবনের আনন্দ বিধান।


হয়তো অনস্তিত্বই যথেষ্ট, সহজ।

শুধু তা কল্পনাতে আনাই 

যা একটু কঠিন।




স্যা র  থ মা স  উ য়ে ট 

ভাষান্তর : অনিন্দ্য পাল


আমি শান্তি পেলাম না 


আমার সব যুদ্ধ শেষ হল তবু শান্তি খুঁজে পেলাম না 

আমি ভীত এবং আশাবাদী, আমি পুড়ছি এবং 

জমে যাচ্ছি বরফের মত, 

আমি উড়ে যাই বাতাস ছাড়িয়ে তবুও 

আমি উঠতে পারি না উপরে 

সমস্ত পৃথিবীটা আমার হলেও কিছুই নেই আমার, 

কেউ আমাকে ছাড়েও না, ধরেও না 

তবু আমাকে আটকে রাখে কারাগারে 

এবং আমাকে আটকেও রাখেনা তবু আমি 

মুক্তি পাই না কোথাও কখনো, 

আমাকে স্বেচ্ছায় বাঁচতে দেয় না, মরতেও দেয় না 

এবং মৃত্যুর মতোই এটা আমাকে সুপ্ত রাখে 

আমি দেখি চোখ ছাড়াই স্পষ্ট বলি জিভ ছাড়াই, 


আমি নষ্ট হতে চাই তবুও চাই স্বাস্থ্যবান বাঁচতে, 

আমি ভালোবাসি অন্য কাউকে আর তাই আমি 

ঘৃণা করি নিজেকে 

আমি নিজেকে খাওয়াই দুঃখ এবং হেসে উঠি 

সব যন্ত্রনায়, 

মৃত্যু এবং জীবন কোনটাই আমি চাই না 

এবং এই দ্বন্দ্বই হল আমার আহ্লাদ। 


অলংকরণ : শুভদীপ মন্ডল