।। গুচ্ছকবিতা ।।
![]() |
অলংকরণ : শুভদীপ মন্ডল |
অ নি মে ষ গু প্ত
কবিতাগুচ্ছ
(১)
বোয়েম ভর্তি আচার, ছাতের মাদুর
পাট করে তুলে রাখছে দিনান্তের রোদ
দিদিমার উপক্রমণিকা।
ঊর্দ্ধাকাশে চন্দ্রাতপ চিরসুন্দর…
আঁচল পেরিয়ে এলে যেখানে অব্যর্থ
শীতের দুপুরগুলো চুপ।
তার পাশে আমাদের অনন্তের ঘর।
(২)
পাতায় শিরায় যোগাযোগ সুক্ষ্ম
এইটুকু ছাড়া সাঁই
সংক্রমণে আনুগত্য নাই
শুধু প্রেমযান আছে বিশ্বাসে, বিশ্বাসে
জানে চিতা শেষ হলে
সব ছাই একসঙ্গে হাসে।
(৩)
পটচিত্রের গায়ে জবা
হলুদ-লাল। চন্দন ফোঁটার পাশে
আচার থেকে মুক্তি পাওয়ার
ছাপানো উপায়।
ইতিহাস বাঁচুক না বাঁচুক
যুদ্ধের আশঙ্কায়
রূপা মাসীমা করজোড়...
জগজ্জননী রক্কে কর মা—
বাড়ি ঢোকার আগে বিষ্ণুপদ
গোপনে চেটে নিচ্ছে নিবেদনের রাজভোগ
(৪)
নৈশব্দ্যের গভীর থেকে
কেউ ডেকে গেছে
তর্জনীতে অপেক্ষা লেগে ছিল
অসাড় শিরা উপশিরায় থেমে গেছে
কবিতার দল
দূরত্ব বহন করে গেছ। কতকাল
তোমায় দেখিনি...
আজো বিদ্যুৎ, মেঘের গায়ে লেগে আছে ভল্ক্যানিক অ্যাশ !
(৫)
বৈরাগ্যর মতো দুধ ঝরে...
ভোরের ট্রেন অবিশ্বাস্য ফাঁকা
এইখানে ধুলো মাখছে
বুড়োগাছ। প্রসন্নতা লেভেল ক্রসিংয়ে
স্কুলবাড়ির মেটেলাল, বন্যাত্রাণ শিবির
ঝিন্দের বন্দি হয়ে
মাকড়সার জালে লেগে আছে
সেই বিকিরণ ছুঁয়ে যায়।
(৬)
রাস্তা ভুলে বারবার
শুঁড়ির খোঁয়াড়ে ফিরে যাই।
কেউ হাসে। ক্যামুফ্লেজে
কাছে এসে বসবার বেঞ্চি টেনে নেয়
টলতে টলতে পড়ে গেলে
ক্যাপচা’র সংখ্যা ও অক্ষরমালা
খুলে রাখা ফাইলগু্লো
বন্ধ করে দেয়।
(৭)
গান বাজছে দেহের আড়ে
মাথার মধ্যে শিরায় উপশিরায়।
যা আছে তা বাধা নয়
শেষ চৌকাঠ।
এসো এই উষ্ণতাটুকু
পেরোই দুজনে।
সুর শোন...
তোমার আমার গভীর নির্জনের।
(৮)
ধরিনি, শুধু ছুঁয়ে আছি
পুরনো পোড়ার দাগ।
জাদু বাস্তবতা...
এরইমধ্যে মাটি ফাটছে।
শ্বাসভিক্ষা চেয়ে...
ঝুঁকে আছে গন্ধরাজ চারা
আমাদের ঘরবাড়ি সিক্ততা খোঁজে।