।। বিশল্যকরণী ।।
![]() |
অলংকরণ : শুভদীপ মন্ডল |
অ নু প ঘো ষা ল
অনভ্যাসের কবিতা
আমিও তো মিশে যেতে পারি
বাসি ফুল, প্রাচীন প্রপাতের মতো
বাড়ন্ত আগুনে।
রেখে দিতে পারি সবটুকু নীচু পথ
গুমোট গাছের কোটরে, হেতুহীন ধূপের ধোঁয়ায়।
যদি ফুল ছুঁয়ে ফেলে অনিবার্য সোহাগী শরীর।
নদী পিঁড়ি পেতে বসে অগোছালো রাতের গভীরে।
স্বভাবী কিশোর লিখে ফেলে হুলুস্থুলু নবীন সড়ক।
এর থেকে বেশি কিছু পারিনি কখনও।
আদরে মেখে তাই কি অসম্পূর্ণ করেছো আমায় ?
যা পারি না,বোধ করি সেও এক বিমূঢ় বিশ্বাস।
নিশ্চল মগ্ন শিকড়।
ওইটুকু না-শেখাই থাক দুঃখিত রোদের মতো।
থেমে গেলে অযথার বৃষ্টি অসুখ
যেন বুঝে নিতে পারি,
ধান কাটা শেষে
ঠিক কতখানি সুখী থাকে ক্ষেতের শরীর।
কু ব ল য় ব সু
ভূমিকা
আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিলে...
পার্ক স্ট্রিটে তোমাকে দেখেছি বাহুলগ্না অন্য যুবকের
অথবা কখনো রতিক্লান্ত আকর্ষ মুহূর্তে নাম নিয়েছ পুরোনো আশ্রয়ের
এই এতো রূপ থেকে তোমাকে আলাদা করতে পারিনি
চলে যেতে চেয়েছ আগামী গল্পে, বারবার পথ আটকেছি,
তবু প্রতিটি আখ্যানের শেষে তুমি নিজেকেই পুড়িয়েছ...
ক্রোধ, প্রেম, যজ্ঞের আহুতি ফুরিয়ে যাবার পর
পড়ে থাকে তোমার নিজস্ব দশমহাবিদ্যা আয়োজন...
গো লা ম র সু ল
দিগন্তে কালের বই
অমরত্ব ফুরিয়ে গেলে শুধু আকাশ
দিগন্তে কালের বই
ছাপা দিনগুলোর শেষে সূর্য অস্ত যায়
অন্ধকার অক্ষরসমূহের সমারোহ
যখন তারার আলো লেগে অনুভব করি বুকের ব্যথা
বন থেকে অনেক দূরে একটি গাছ
আকাশ পার হয়ে গেছে দীর্ঘপক্ষ
আর দেখো অখণ্ডবলয়ের গায়ে কিভাবে উড়ছে সেই প্রজাপতি
আমাদের তৃষ্ণার জলেও শোক
সমুদ্রে যাই
সমুদ্রেও রয়েছে আকাশ
জ্যো তি র্ম য় মু খো পা ধ্যা য়
চোখ বুজলেই
দেখি, ধ্যানস্থ এক অন্ধকার
কী গভীর! কী দীপ্ত! কিন্তু কালো নয়
অথচ, অন্ধকার বলতে এতদিন কালোই জেনেছি শুধু
যেন এক অরূপ গর্ভবতী
আলো প্রসব করবে বলে এসে দাঁড়িয়েছে
আমার দেখার পথে
তৈ মু র খা ন
নীলভাস্কর
দুর্বলতা মরচে পড়া ঘুম
না এলেও আসে, এলেও আসে না
আলোকে পরাহত, বস্তুত নিঃঝুম
অশোক বনের কোনো নারী
নিবেদিত জলে, গোপন আকাঙ্ক্ষার ঢেউ ফেলে গেছে
স্পন্দনে কেঁপে ওঠে হাত, নীলজল
আবার কদম ফুটে ওঠে
ছায়া পড়ে মুগ্ধ মনোরম
স্নেহের আস্তরণ খুলে দেখি
সমীহ পবন যায় আসে
অথবা দুরন্ত জটিল কোনো সর্বনাম
লিখতে থাকে যা কিছু লেখার স্বয়ংক্রিয়
অথবা লেখে না
রোদ্দুর ও জলে মেলে দেয় দেহ
দেহে দেহে পর্যাপ্ত কাম