গুচ্ছকবিতা 
অঙ্কন: শুভদীপ মন্ডল




 

অ নি মে ষ  গু প্ত


(১)

দীর্ঘ গাছ, গাছের তলায়
চন্দ্রাংশু।
শিকারি দেখে ভয়ার্ত
কাণ্ড থেকে শূন্য চাটছে হরিণ…

নিহত হওয়ার আগে 
জমাট হতে দিও না আমায়

আনন্দম মধ্যফাঁকে
শূন্য ভরে দাও…


(২)

আর একবার সম্মোহিত
করেছি নিজেকে।.  
এখন যা বলব সব লিখে রেখ
অন্তিমের জন্য

দোরের কাছে যতটুকু  
আলো ফুটে আছে...  
ঢেকে দাও সব লুকিয়ে ফেল।   

শেষের পরের সকাল
আনবে এলোকেশী  
নিমেষগুলো উঠবে ঠিকই...
মিলিয়ে যাবে পরের নিমেষেই।


(৩)

কড়া আছে। দরজাগুলো ঝাপসা
ছবির মতো...  
নাকি এই দেখায় কোন বড় ভুল ছিল! 
বোঝনি সে নীরবের মানে

অথচ গভীর থেকে
গভীরতর ক্ষত…  
আমি যে কতবার

নাড়িয়েছি কড়া এক খাঁ খাঁ দরজার।  


(৪)

ছবিটিতে
নেই লেগে আছে

আচ্ছন্ন চাদরের মতো
ভোর হচ্ছে দুধেল ছায়ায়
ধুপের ধোঁয়ার নীচে আদুর হচ্ছে ছাই

রাত থাকতে সাক্ষ্য দিতে
এসেছিলেন স্বপ্নদূত। সেই সময়
আকাঙ্খাদের লুটোপুটি
লক্ষ্য করার মতো

ফেরার আগে বর দিয়েছেন
রাজসাজে যাও...  




র বি ন  ব ণি ক 

ধর্ম  একজন  ল্যামার্ক 


অবিকল  ধর্মের  মতো  বেঁচে  আছে  গাছের  পরোক্ষ  শব
অবিকল  বেঁচে  আছে  যেন  ফ্লেমিংগো  ঝাঁকের  কাছে  অনাত্মীয়  জল

একটা  গিরগিটি  আমাদের  দিকে  চোখ  রাখার  অর্থ
অতীত  বালির  ভেতর  পতঙ্গের  ধর্ম  বদলের  স্মৃতি 

যদি  খুব  সহজ  ভাষায়  বলি  ধর্ম  একজন  ল্যামার্ক
নিউটনের  প্রথম  সূত্রেই  আপনি  বুঝে  নিয়েছেন  জলের  চৈতন্যই  ধর্ম



মধ্যবয়স

মধ্যবয়স  খুলে  রাখার  মধ্যে  একটা  রঙিন  নিরুদ্দেশ  থাকে
ছলাৎ  জলের  অপেক্ষায়  না  থেকে  ক্রমশ   হয়ে  ওঠে  নিগ্রো  দিন–দুপুর
পরিশ্রান্ত  রোদ্দুরকে  ডেকে  ডেকে  সাড়া  না  পেয়ে  
অবশেষে  খুলে  বসে  দাঁড়কাকের  আলো
দাঁড়কাক  এক  অদৃশ্য  ঘনিষ্টতা
এই  ঘনিষ্টতা  থেকে  ক্রমশ  দূরবীনের  মধ্যে  ঢুকে  পড়ে  
মাঝবয়সী  চেঙ্গিস  খাঁ–র  অসংখ্য  খুংখার   দেহ