জ‍্যো তি র্ম য়  মু খো পা ধ্যা য়
ইদানীং

আকাশের দিকে তাকালে খুব স্পষ্ট লাগে

যত মাটির দিকে তাকাই, মানুষের দিকে

অস্পষ্ট, ঘোলাঘোলা

যেন টুকরো টুকরো কথার সমষ্টি

শরীর গড়াচ্ছে

শরীর গড়াচ্ছে

দূরত্ব বিষয়ক সমীকরণে যদিও কোনও পা নেই



নির্জন নস্কর
ফেরা

এই তুমি শব্দ ছুঁড়ে আমায় ভাঙলে
সুতো হাতে এমন দুলিয়েছো চোখ
যেন  অশ্রু থেকে নেমেছো আড়ালে

কারা দেখছে অথবা কারা দেখবে এত অভিনয় !
থাক সব পরে থাক
চলো উভয়ই বলি , দূরে থাকা সহজ তো নয় —

তবু মৃত্যু বড় একা ;
একা একটি মঞ্চ —

সবাই ফিরে গেলে কেউ এসে যেন
কষ্টগুলো কুড়িয়ে তুলবে বলে কথা দেওয়া আছে


রবিন বণিক
আশ্চর্যের ছায়া

যে অদ্ভুত শিখে গেছ গতকাল

সে আজ অদ্ভুত নয়, আশ্চর্য দাঁড়িয়ে আছে পাতায়

যেভাবে বৃষ্টি নামে, সেভাবে নেমে আসি ছায়ায়

জানিনা, আশ্চর্যেরও কোনো ছায়া আছে কিনা–




অভিজিৎ কুমার
দুই পা মাটি

আজ সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে।
সন্ধ্যাবেলা ভেজা মাটির উপর আমার দু'টো পা খুলে রেখে এসেছি।
কাল থেকে দিনে দু'বার করে জল দেব।

আর যেইদিন আবার বৃষ্টি হবে,
গোড়ালির কাছে কিছু ঘাস পুঁতে আসবো।

আসতে আসতে বয়স বাড়বে।
দৃষ্টি কমে আসবে।
তোমাদের মুখ আরো আরো ছোট হয়ে আসবে আমার কাছে।

একদিন ভুলে যাব ওই দুটো পায়ে জল দিয়ে আসতে।
ভুলে যাব কত হাত হেঁটে গেলে নিজের পায়ের কাছে পৌঁছানো যায়।
তোমরাও মনে করিয়ে দেবে না, আমি জানি।

ওইদিন সন্ধ্যায় বৃষ্টি আসবে।
কেউ চুপ করে উঠে যাবে আমার দুই পায়ের কাছে।
আমি নই।
তবে আমার মতোই অন্য কেউ।